নদীর বিদ্রোহ গল্পটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক "মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের" এর 'সরীসৃপ' গল্প সংকলন থেকে গৃহিত হয়েছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের Nadir Bidroha গল্পের যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ MCQ ও SAQ প্রশ্নোত্তর এই প্রতিবেদন এর মাধ্যমে শেয়ার করবো।
তোমরা যারা মাধ্যমিক 2023 এর জন্য নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দোপধ্যায় - মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন নোট খুঁজতে চাইছো তাদের জন্য এই MCQ ও SAQ প্রশ্নোত্তর খুব গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নের মধ্যেই 100% তোমরা কমন পাবে।
Madhyamik Bengali Suggestion
নদীর বিদ্রোহ গল্পের MCQ প্রশ্নোত্তর -
1. নদেরচাদ রোজ নদীকে দেখে .............?
উত্তরঃ- ব্রিজের ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে বসে।
2. নদেরচাদ স্টেশনমাস্টারের চাকরি করছে কত বছর?
উত্তরঃ- চার বছর
3. নদেরচাদের চার বছরের চেনা নদীর মূর্তিকে আরও বেশি ভয়ংকর ও অপরিচিত মনে হওয়ার কারণ কি?
উত্তরঃ- সে একটি সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা নদীর কথা ভাবছিল।
4. ব্রিজের ধারকস্তম্ভের উপাদানগুলি কি?
উত্তরঃ- ইট, সুরকি ও সিমেন্ট।
5. নদেরটাদের ভারি আমোদ বোধ হইতে লাগিল কেন?
উত্তরঃ- নদীর স্ফীতরূপ দেখে।
6. বউকে পাঁচ পাতার চিঠি লিখতে নদেরচাদের সময় লেগেছিল কত?
উত্তরঃ- দু-দিন।
7. নদেরচাদের বউকে লেখা চিঠির বিষয়বস্তু কি ছিল?
উত্তরঃ- বিরহবেদনা।
8. 'রপর নামিল বৃষ্টি'- বৃষ্টি পড়েছিল কেমন?
উত্তরঃ- মুশলধারায়।
9. 'মধুর শব্দ ' কথার অর্থ?
উত্তরঃ- ভয়ংকর-সুন্দর।
10. 'বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাদের' তাঁর ভয়ের কারণ কি?
উত্তরঃ- নদীর প্রতিহিংসা।
11. নদীর বিদ্রোহের কারণ কি?
উত্তরঃ- বন্দিদশা থেকে মুক্তি।
12. নদেরচাদের মৃত্যু হয়েছিল কোথায়?
উত্তরঃ- ট্রেনের তলায়।
13. নদীর বিদ্রোহে গল্পে নদীকে বন্দি বলার কারণ?
উত্তরঃ- মানুষ বাঁধ ও ব্রিজ তৈরি করে তার গতি রুদ্ধ করেছে।
14. যে ট্রেনটি নদেরচাঁদকে পিষে দিয়েছিল সেই ট্রেনটি নাম কি ছিল?
উত্তরঃ- 7 নং ডাউন প্যাসেঞ্জার।
15. স্টেশন থেকে নদীর উপরকার ব্রিজের দূরত্ব হল কত?
উত্তরঃ- এক মাইল।
16. নদেরচাঁদ ছিল একজন?
উত্তরঃ- স্টেশনমাস্টার।
17. নদেরচাদের বয়স হল কত ছিল?
উত্তরঃ- ত্রিশ বছর।
18. নদীর জন্য নদেরচাদের মায়াকে অস্বাভাবিক বলার কারণ কি?
উত্তরঃ- প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই স্বভাব প্রায় দেখা যায় না।
19. নদীকে ভালোবাসার কৈফিয়ত হিসেবে নদেরচাঁদ যে কারণ দেখায় , সেটি হল-
উত্তরঃ- নদীর ধারে তার জন্ম।
20. নদীর জল কেমন ছিল -
উত্তরঃ- পঙ্কিল।
21. 'এতক্ষণ নদেরচাঁদ যে – নদীর কথা ভাবছিল' তা কেমন ছিল?
উত্তরঃ- সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা।
Madhyamik Bengali Suggestion
নদীর বিদ্রোহ গল্পের MCQ প্রশ্নোত্তর -
1. 'কিন্তু সে চাঞ্চল্য যেন ছিল পরিপূর্ণতার আনন্দের প্রকাশ'।— কোন্ পরিপূর্ণতার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ- নদীর পরিপূর্ণতা তার জলরাশির উচ্ছলতায় । নদেরচাদ বর্ষার জলে পুষ্ট নদীর যে চাঞ্চল্য লক্ষ করেছিল , সেই পরিপূর্ণতার কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে ।
2. 'সে প্রতিদিন নদীকে দেখে' – সে কে? সে কোন্ নদীকে কেন দ্যাখে?
উত্তরঃ- এখানে সে বলতে 'মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের' নদীর বিদ্রোহ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদেরচাঁদ, নদেরচাঁদ তার কর্মক্ষেত্র থেকে মাইলখানেক দূরের নদীটিকে প্রতিদিন দেখত। কারণ এমনই এক নদীর ধারে তার শৈশব কেটেছিল।
3. আজ যেন সেই নদী ক্ষেপিয়া গিয়াছে,- নদীর ক্ষেপে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ- 'নদীর বিদ্রোহ' গল্পে সারাবছর জলাভাবে ভুগতে থাকা ক্ষীণস্রোতা নদীটি একটানা পাঁচদিনের বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছিল, এটাই নদীর ক্ষেপে যাওয়ার কারণ।
4. তার চার বছরের চেনা এই নদীর মূর্তিকে তাই যেন আরও বেশি ভয়ংকর , আরও বেশি অপরিচিত মনে হইল।- তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো?
উত্তরঃ- নদেরচাদের কর্মক্ষেত্রের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ক্ষীণস্রোতা নদীটিকে সে প্রতিদিন দেখত। পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বর্ষণে সে নদীর জল ফুলেফেঁপে ভয়ংকর রূপ ধারণ করলে চার বছরের চেনা নদীটিকে নদেরচাদের অচেনা লাগে।
5. আজও সে সেইখানে গিয়া বসিল - কে, কোথায় প্রশ্ন গিয়ে বসল?
উত্তরঃ- স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদের তার কাজের অবসরে কর্মক্ষেত্র থেকে মাইলখানেক দূরে নদীর উপরকার ব্রিজের মাঝামাঝি ধারকস্তম্ভের শেষ প্রান্তে এসে বসল।
6. ধারকস্তত্ত্বের শেষপ্রান্তে বসিয়া সে প্রতিদিন নদীকে দেখে তার প্রতিদিন নদীকে দেখার কারণ কী?
উত্তরঃ- নদেরচাদের নদীর সঙ্গে সখ্য ছোটোবেলার তার গ্রামে থাকাকালীন কর্মস্থলে এসেও সে তা ভুলতে পারেনি, তাই নদীকে সে প্রতিদিন না দেখে থাকতে পারত না।
7. 'এত উঁচুতে জল উঠিয়া আসয়িাছে যে' - জল উঁচুতে উঠে এসেছে কেন?
উত্তরঃ- ক্ষীণস্রোতা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের ধারকস্তম্ভ গুলিতে বর্ষার সময় নদীর স্রোত বাধা পায় এবং ফেনিল আবর্ত রচনা করে, তাই জল উঁচুতে উঠে আসে।
8. 'সে স্রোতের মধ্যে ছুড়িয়া দিল' - সে কে? স্রোতের মধ্যে কী ছুড়ে দিল?
উত্তরঃ- এখানে সে বলতে 'নদীর বিদ্রোহ' গল্পের স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ। চিরপরিচিত ক্ষীণকায় নদীকে বর্ষার জলে ফুলেফেঁপে উঠতে দেখে উৎফুল্ল নদেরচাঁদ পুরোনো চিঠি সেই উন্মত্ত স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছিল।
9. উন্মত্ততার জন্যই জলপ্রবাহকে আজ তাহার জীবন্ত মনে হইতেছিল, এই উম্মত্ততার পরিচয় দাও।
উত্তরঃ- ' নদীর বিদ্রোহ' গঙ্গে নদেরচাঁদ শীর্ণকায় যে নদীকে দেখে অভ্যস্ত ছিল তা বর্ষণপুষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত উম্মত্ত জলপ্রবাহের আবর্ত রচনা করায় সেই জলরাশিকে জীবন্ত বলে মনে হয়েছিল।
10. ত্রিশ বছর বয়সে নদীর জন্য নদেরচাঁদের এত বেশি মায়া একটু অস্বাভাবিক - এ কথা বলার কারণ কী ছিল?
উত্তরঃ- 'নদীর বিদ্রোহে' নদেরচাদের নদীকে নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের ঔৎসুক্যবোধ অনেকটা ছেলেমানুষের মতো । ত্রিশ বছর বয়সে নদীকে নিয়ে নদেরচাদের এতটা মায়া একটু অস্বাভাবিকই লাগে ।
11. কেবল বয়সের জন্য নয়, বয়স ছাড়া আর কোন কোন কারণ উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ- নদেরচাঁদ একজন স্টেশনমাস্টার । মেল, প্যাসেঞ্জার, মালগাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা তার কাজ । যন্ত্রের গতি নির্ধারণ যার কাজ, তার এতটা আবেগপ্রবণ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক লক্ষণ নয় ।
12. নিজের এই পাগলামিতে যেন আনন্দই উপভোগ করে - কোন পাগলামির কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ- নদেরচাঁদের নদী সম্পর্কে একটা শিশুসুলভ উন্মাদনা ছিল। নদীর সামান্য অদর্শনে সে অধৈর্য হত, অন্যের কাছে এটা পাগলামি মনে হলেও, সে নিজে এই পাগলামিতে আনন্দ পেত।
13. নিজেকে কেবল বুঝাইতে পারে না - নিজেকে কী বোঝাতে পারে না নদেরচাঁদ?
উত্তরঃ- প্রাপ্তবয়স্ক নদেরচাদ ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত, তার নদীকে দেখার মতো শিশুসুলভ ঔৎসুক্য সাজে না – এ কথা সে মনকে বোঝাতে পারে না।
14. অস্বাভাবিক হোক - কোন্ বিষয়কে অস্বাভাবিক বলা হয়েছে?
উত্তরঃ- নদেরচাদ স্টেশনমাস্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিল , বর্ষণপুষ্ট নদীকে একটানা পাঁচ দিন না দেখার জন্য তার মধ্যে যে শিশুসুলভ উন্মত্ততা দেখা দিয়েছিল সেটাই অস্বাভাবিক।
15. কিন্তু শৈশবে, কৈশোরে, আর প্রথম যৌবনে বড়োছোটোর হিসাব কে করে? উল্লিখিত সময়ে বড়ো ছোটোর হিসাব না করার কারণ কী?
উত্তরঃ- শৈশবে, কৈশোরে, আর প্রথম যৌবনে মানুষ বুদ্ধি, বিবেচনার পরিবর্তে ব্যক্তিমনের আবেগ ও আকাঙ্ক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই তার কাছে তখন ছোটো বড়ো, ভালোমন্দের চেয়ে বেশি মূল্যবান নিজের ভালোলাগা।
16. 'সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল' তার কেঁদে ফেলার কারণ কী?
উত্তরঃ- 'নদীর বিদ্রোহ' গল্পের নায়ক নদেরচাদের ছোটোবেলা থেকেই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির সঙ্গে ভারি বন্ধুত্ব । একবার অনাবৃষ্টিতে নদীর জলস্রোত প্রায় শুকিয়ে যেতে বসায় সে কেঁদে ফেলেছিল ।
17. অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়ার মতোই তার মমতা পাইয়াছিল - কাকে? কেন 'অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়া' বলা হয়েছে?
উত্তরঃ- নদেরচাঁদ যে নদীর ধারে জন্মেছে, বড়ো হয়েছে, যাকে ভালোবেসেছে, সেই নদীটি বর্ষণপুষ্ট নদীর মতো বড়ো ছিল না। ক্ষীণস্রোতা নদীটি নদেরচাদের কাছে ছিল অসুস্থ, দুর্বল আত্মীয়ার মতো ।
18. 'সেই ক্ষীণস্রোতা নির্জীব নদীটি' - কোন নদীর কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ- আলোচা উদ্ধৃতিটিতে নদেরচাদের দেশের শরু, ক্ষীণস্রোতা নদীটির সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে, আবাল্যের সঙ্গী এই নদীটিকে সে নিজের অসুস্থ ও দুর্বল আত্মীয়ার মতো গণ্য করত ।
19. 'মানুষ যেমন কাঁদে কে'- কে? কেন কেঁদেছিল?
উত্তরঃ- পরমাত্মীয়কে দুরারোগ্য রোগে মারা যেতে দেখলে মানুষ যেমন কাঁদে, নদেরচাঁদও অনাবৃষ্টিতে তার গ্রামের ক্ষীণস্রোতা নদীটিকে শুকিয়ে যেতে দেখে তেমনি কেঁদে ফেলেছিল।
20. 'অস্বাভাবিক হোক' - অস্বাভাবিক হোক বলার কারণ কি?
উত্তরঃ- 'নদীর বিদ্রোহ' গল্পের নায়ক নদেরচাদ স্টেশনমাস্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিল, বর্ষণপুষ্ট নদীকে একটানা পাঁচ দিন না দেখার জন্য তার মধ্যে যে শিশুসুলভ উন্মত্ততা দেখা দিয়েছিল সেটাই অস্বাভাবিক।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা আজকে "Nadir Bidroha mcq & saq question" গুরুত্বপূর্ন সেই প্রশ্নোত্তর শেয়ার করলাম, এছাড়াও এর পাশাপাশি আপনাকে টেক্সট বই ভালো করে পড়তে হবে এবং বুঝতে হবে তাহলে যে ধরণের প্রশ্ন আসুক আপনারা লিখতে পারবেন। এই রকম নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট Follow করুন।
No comments:
Post a Comment